প্রশ্ন : গল্পের ছাগল ছানা কোথায় থাকতো?
উত্তর : মাঠের পাশে বন আছে, বনের ধারে মস্ত পাহাড়, সেইখানে একটা গর্তের ভিতর একটি ছাগল ছানা থাকত।
প্রশ্ন : ছাগলছানাটি গর্তের বাইরে যেতে পারত না কেন?
উত্তর ঃ ছাগল ছাড়াতে খুব ছোট ছিল তাই সে গর্তের বাইরে বের হতে পারত না।
প্রশ্ন ঃ ছাগলছানাটি গর্তের বাইরে বের হতে চাইলে তার মা কি বলতো?
উত্তর : ছাগলছানাটি গর্তের বাইরে বেরোতে চাইলে তার মা বলতো বাইরে গেলে ভালুক ধরবে বাঘে নিয়ে যাবে কিংবা সিংহ খেয়ে ফেলবে।
প্রশ্ন : তা শুনে তার ভয় হতো আর সে চুপ করে গর্তের ভিতরে বসে থাকতো। –কি শুনে ছাগল ছানা ভয় লাগতো?
উত্তর : ছাগলছানাটি গর্তের বাইরে বেরোতে চাইলে তার মা বলতো বাইরে গেলে ভালুক ধরবে বাঘে নিয়ে যাবে কিংবা সিংহ খেয়ে ফেলবে। এই কথা শুনে ছাগলছানাটি ভয় পেত।
প্রশ্ন : ছাগল ছানা আর এত বড় জন্তু কখনো দেখেনি। এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : এখানে একটি ষাঁড় এর কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন : শেষে একদিন একেবারে গর্তের বাইরে চলে এলো। কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ছাগলছানা যখন বড় হল তখন তার ভয় কমে গেল তখন তার মা বাইরে চলে গেল সে গর্তের ভিতর উঁকি মেরে দেখত। শেষে একদিন গর্তের বাইরে চলে এল।
প্রশ্ন : ছাগলছানা বললে, 'সে ঘাস কোথায়? এর উত্তরে ষাঁড় কি জানিয়েছিল?
উত্তর : ষাঁড় বনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিল গভীর বনে ঘাস পাওয়া যায়।
প্রশ্ন : সে আর চলতে পারে না—সে চলতে পারে না কেন?
উত্তর : ছাগলছানা গভীর জঙ্গলে ঢুকে অনেক অনেক ঘাস খেলো তার পেট এমনি ভারী হলো যে সে আর চলতে পারে না।
প্রশ্ন : ছাগলছানা একটি গর্ত দেখতে পেয়ে তার ভিতরে ঢুকে রইল।—সেই গর্তে কে থাকতো?
উত্তর : সেই গর্তে থাকতো একটি শিয়াল।
প্রশ্ন : অনেক রাত্রে ফিরে এসে দেখে, তার গর্তের ভিতর কি রকম একটা জন্তু ঢুকে রয়েছে।—সে কোথায় গিয়েছিল?
উত্তর : অর্থাৎ শিয়াল বাঘের বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিল।
প্রশ্ন: ছাগলছানাকে দেখে শিয়ালের কি মনে হয়েছিল?
উত্তর: গর্তের ভিতর অন্ধকার ছিল আবার ছাগলছানা কালো বলে শিয়াল ভালো করে। দেখতে পেল না সে ভাবলো বুঝি রাক্ষস টাক্ষস হবে।
প্রশ্ন : এই মনে করে সে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো “গর্তের ভিতর কে ও ?" এর উত্তরে ছাগল ছানা কি বলে?
উত্তর : ছাগল ছানা বুদ্ধি করে বলে সে সিংহের মামা তার নাম নরহরি দাস, পঞ্চাশ বাঘে মোর এক এক গ্রাস।
প্রশ্ন : “বলে সেখান থেকে দে ছুট” – কে কোথায় ছুট দিলো?
উত্তর : ছাগলছানা কথা শুনে শিয়াল এমন ছিল যে একেবারে বাঘের কাছে গিয়ে নিঃশ্বাস ফেলল।
প্রশ্ন : শিয়াল হাঁপাতে হাঁপাতে বললে–শিয়াল হাঁপাতে হাঁপাতে কাকে কি বলল?
উত্তর: শিয়াল হাঁপাতে হাঁপাতে বাঘ মামাকে বলে তার সর্বনাশ হয়ে গেছে। তার গর্তে এক নরহরি দাস এসেছে। সে বলে কিনা পঞ্চাশ বাঘে তার এক গ্রাস।
প্রশ্ন: শিয়াল বললে, 'আমি আর সেখানে যেতে পারব না।'—শিয়াল সেখানে যেতে চাইনি কেন?
উত্তর : শিয়াল বাঘ মামাকে বলেছিল সে আর গর্তে ফিরে যেতে চায় না। কারণ গর্তের ভয়ঙ্কর প্রাণীটি যদি তাদের খেতে আসে তাহলে বাঘ দু লাফে পালিয়ে যাবে। শিয়াল তো তেমন ছুটতে পারে না তাই শিয়ালকে সেই ভয়ঙ্কর প্রাণীটি ধরে ফেলবে। তাই সে আর ফিরে যেতে চাইনি।
প্রশ্ন : বাঘ শিয়ালকে কিভাবে তার গর্তে নিয়ে গিয়েছিল?
উত্তর: বাঘ শিয়ালকে বেশ করে লেজের সঙ্গে বেঁধে তার গর্তে নিয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন: ছাগল ছানা দূর থেকেই তাদের দেখতে পেয়ে শেয়ালকে বললো– শিয়ালকে কি বলেছিল?
উত্তর : শিয়ালকে বলেছিল—
দূর হতভাগা। তোকে দিলুম দশ বাঘের কড়ি এক বাঘ নিয়ে এলি লেজে দিয়ে দড়ি।
প্রশ্ন : শুনেই তো ভয়ে বামের প্রাণ উড়ে গিয়েছে। এরপর বাঘ শিয়াল সম্পর্কে কি ভেবেছিল?
উত্তর: বাঘ ভাবলো যে শিয়াল তাকে ফাকি দিয়ে নরহরি দাসকে খেতে দেওয়ার জন্য এনেছে।
প্রশ্ন : বাম কতটা লাফ দিয়ে শিয়ালকে সুদ্ধ নিয়ে পালাল?
উত্তরঃ বাঘ পঁচিশ হাত লম্বা এক এক লাফ দিয়ে শিয়ালকে নিয়ে পালাল।
প্রশ্ন : শিয়ালকে নিয়ে পালানোর সময় শিয়ালের অবস্থা কি হয়?
উত্তর: শিয়াল কে নিয়ে পালানোর সময় শিয়াল মাটিতে আছাড় খেয়ে কাঁটার আঁচড় খেয়ে, ক্ষেতের আলে ঠোক্কর খেয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়।
রচনা ধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলো দিলে উপকৃত হতাম
উত্তরমুছুনhttps://ownaim.blogspot.com/2021/05/blog-post_14.html
উত্তরমুছুন