সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

"টুনটুনি আর রাজার কথা" গল্প অবলম্বনে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

 টুনটুনি আর রাজার কথা

• সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : টুনটুনির বাসা কোথায় ছিল?

 উত্তর : রাজার বাগানের কোণে।

প্রশ্ন : রাজা কিসের টাকা রোদে শুকোতে দিয়েছিল?

 উত্তর : রাজা সিন্দুকের টাকা রোদে শুকোতে দিয়েছিল।

প্রশ্ন : টুনটুনি রাজা টাকা পেয়ে কি বলতে লাগলো? 

উত্তর ঃ রাজার ঘরে যে ধন আছে, আমার ঘরে সে ধন আছে। এই কথা বলতে লাগলো।

প্রশ্ন : সকলে হাতজোড় করে বললে–সকলে হাতজোড় করে কি বলল? 

উত্তর : সকলেই হাতজোড় করে রাজামশাইকে বলল টুনটুনি পাখি বলছে রাজার ঘরে ধন আছে ওর ঘরেও নাকি সেই ধন আছে।

প্রশ্ন : শুনে রাজা খিলখিল করে হেসে বললেন—কি বললেন ?

 উত্তর : রাজা বললেন টুনটুনির বাসায় কি আছে দেখে আসতে। 

প্রশ্ন : টুনটুনির বাসায় কি ছিল?

উত্তর : টুনটুনির বাসা ছিল রাজার একটি টাকা।

প্রশ্ন : টুনটুনির বাসা থেকে রাজার লোক টাকাটি নিয়ে আসার পর টুনটুনি কি বলে? 

উত্তর: টুনটুনির বাসা থেকে রাজার লোক টাকাটি নিয়ে আসার পর টুনটুনি দুঃখে বলতে লাগলো রাঙ্গ বড় ধনে কাতর। টুনির ধন নিলে বাড়ির ভিতর।

প্রশ্ন : টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার পর টুনটুনি আনন্দে কি বলে ওঠে?

উত্তর : টুনটুনি আনন্দে বলে ওঠে – রাজা ভারি ভয় পেলটু নির টাকা ফিরিয়ে দিল।

প্রশ্ন: রাজামশাই রেগে গিয়ে কি বলে ওঠে? 

উত্তর: রাজামশাই রেগে গিয়ে বলে টুনটুনি কে ধরে আনতে সেটাকে ভেজে খাবে। 

প্রশ্ন: রাজা কাদের নির্দেশ দেয় টুনটুনিকে ভেজে তাকে খেতে দিতে? 

উত্তর : জাতার রানীদের নির্দেশ দেয় তাকে খেতে দিতে।

প্রশ্ন : রাজার কটি রানী ছিল?

উত্তর : রাজার সাত জন রানী ছিল।

প্রশ্ন : তখন টুনটুনি ফস্কে গিয়ে উড়ে পালালো। টুনটুনি কিভাবে উড়ে পালালো?

উত্তর: রানীরা যখন টুনটুনি পাখিকে দেখে বলে কি সুন্দর পাখি এবং একে অন্যের হাতে দিতে থাকে আর সেই সুযোগেই টুনটুনি পাখি পালিয়ে যায়।

 প্রশ্ন : টুনটুনি উড়ে যাওয়ার ফলে রানীরা কি সিদ্ধান্ত নেয়?

উত্তর : টুনটুনি উড়ে যাওয়ার ফলে রানীরা বলে রাজা জানতে পারলে আর রক্ষা থাকবে না তাই তারা একটি ব্যাঙ ধরে ভেজে রাজাকে খেতে দেয়।

প্রশ্ন : শুনেই তো রাজামশাই লাফিয়ে উঠলেন –কি শুনে রাজামশাই লাফিয়ে উঠলেন ?

উত্তর : রাজামশাই যখন শুনলেন টুনটুনি বলছে বড় মজা বড় মজা/রাজা খেলেন ব্যাঙ ভাজা তখনই রাজামশাই-এর টনক নড়ে। টুনটুনি জীবিত আছে দেখে সে বুঝতে পারে সত্যিসত্যি ব্যাঙ ভাজা খেয়েছে। তাই সে লাফিয়ে ওঠে। 

প্রশ্ন: রাজাকে ব্যাঙ ভাজা খাওয়ানোর জন্য রানীদের কি শাস্তি হয়েছিল?

উত্তর : রাজাকে ব্যাঙ ভাজা খাওয়ানোর জন্য জল্লাদ দিয়ে সাত রানীর নাক কেটে দেওয়া হয়েছিল।

প্রশ্ন : সবাই বললে, এবারে পাখি জব্দ।-কি দেখে সবাই এমন মন্তব্য করে?

 উত্তর : সবাই যখন দেখল রাজা মুখ ভরে জল নিয়ে টুনটুনিকে মুখে পুরে দিয়েছে এবং চোখ বুজে ঢক করে গিলে ফেলল তখন সকলে বলে ওঠে পাখি এবার জব্দ।

 প্রশ্ন : সভার লোক চমকে উঠলো–কি দেখে সভার লোক চমকে উঠলো?

উত্তর:  সকলে যখন দেখল রাজা ঢেকুর তোলার সঙ্গে সঙ্গে টুনটুনি পালিয়ে গেল তখন সভার লোক চমকে উঠলো।

প্রশ্ন : টুনটুনি উড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর কতজন লোক টুনটুনিকে ধরে আনল? 

উত্তর : টুনটুনি উড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর ২০০ জন লোক টুনটুনিকে ধরে আনলো। 

প্রশ্ন : রাজামশাই তো ভয়ানক চেচালেন–রাজামশাই ভয়ানক চেচালেন কেন? 

উত্তর ঃ টুনটুনিকে ধরে আনার পর পুনরায় যখন রাজামশাই টুনটুনিকে গিলে ফেলেন তখন টুনটুনি রাজার পেটের ভিতর ছটফট করতে থাকে। রাজা ওয়াক করামাত্র টুনটুনি মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়। সিপাই তখন থতমত খেয়ে তলোয়ার দিয়ে যেই টুনটুনিকে মারতে যাবে অমনি সেই তলোয়ার টুনটুনির গায়ে না পড়ে রাজামশাই–এর নাকে পড়ে। তখন রাজামশাই ভয়ানক চিৎকার করে ওঠেন।

প্রশ্ন : বলেই সে উড়ে সে দেশ থেকে চলে গেল। —কি বলে টুনটুনি উড়ে চলে গেল?

উত্তর : রাজাকে নাক কাটা অবস্থায় দেখে টুনটুনি বলে নাক-কাটা রাজা রে দেখ তো কেমন সাজা রে!

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ধর্মমঙ্গল কাব্যের কাহিনী সংক্ষেপ আলোচনা করো।

  ★ধর্মমঙ্গলের কাহিনি:– ধর্মমঙ্গল কাব্যের দুটি কাহিনি—হরিশ্চন্দ্র ও লাউসেনের কাহিনি।   ১. হরিশ্চন্দ্রের কাহিনি:– রাজা হরিশ্চন্দ্র ও তার রানি মদনা নিঃসন্তান হওয়ায় সমাজে লোকনিন্দার ভয়ে মনের দুঃখে ঘুরতে ঘুরতে বল্লুকা নদীর তীরে উপস্থিত হয়ে দেখেন সেখানে ধর্মঠাকুরের ভক্তেরা ঘটা করে দেবতার পূজা করছেন। রাজা ও রানি তাদের কাছে ধর্মঠাকুরের। মাহাত্ম্য শুনে ধর্মঠাকুরের পূজার্চনা করে শর্তসাপেক্ষে বর লাভ করেন। শর্ত হল এই তাদের পুত্রকে ধর্মঠাকুরের কাছে বলি দিতে হবে। যথাসময়ে মদনার পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। রাজা ও রানি পুত্রকে পেয়ে ধর্মঠাকুরের কাছে বলি দেওয়ার পূর্ব প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। ধর্মঠাকুর ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে একদিন হরিশ্চন্দ্রের কাছে উপস্থিত হন। সেদিন ছিল। একাদশীর পারণ; ছদ্মবেশী ব্রাহ্মণ রাজপুত্র লুইধরের মাংস আহার করতে চাইলে রাজা ও রানি পুত্রকে বধ করে তার মাংস রান্না করলেন। রাজা ও রানির এই আনুগত্য ও নিষ্ঠায় সন্তুষ্ট হয়ে ধর্মঠাকুর লুইধরকে জীবিত করে পুনরায় রাজা-রানির কাছে ফিরিয়ে দেন। এরপর রাজা ও রানির প্রচেষ্টায় ধর্মঠাকুরের পূজা মহাসমারোহে আয়োজিত হতে থাকে। ২. লাউসেনের কাহিনি:...

ধর্মমঙ্গল কাব্যের অষ্টাদশ শতাব্দীর একজন শ্রেষ্ঠ কবি ও তাঁর কৃতিত্বের পরিচয় দাও।।।।

         ■ অষ্টাদশ শতাব্দী – শ্রেষ্ঠ কবি                    • ঘনরাম চক্রবর্তী ধর্মমঙ্গল কাব্যের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক জনপ্রিয় কবি হলেন ঘনরাম চক্রবর্তী। ঘনরাম অষ্টাদশ শতাব্দীর শক্তিমান কবি। মঙ্গলকাব্যের ঐশ্বর্যযুগের শেষ পর্যায়ে রামেশ্বর ভট্টাচার্যের শিবায়ন, ঘনরাম চক্রবর্তীর ধর্মমঙ্গল এবং ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল নির্বাণোন্মুখ দীপশিখার মতো সর্বশেষ জ্যোতি।  সুকুমার সেন লিখেছেন,– “ধর্মমঙ্গল রচয়িতাদের মধ্যে সবচেয়ে শিক্ষিত ও দক্ষ ছিলেন ঘনরাম চক্রবর্তী। ঘনরাম সুলেখক ছিলেন। তাঁহার রচনা সর্বাধিক পরিচিত ধর্মমঙ্গল কাব্য”। ( বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা-১৫১ )।  অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ও লিখেছেন, –“আধুনিক যুগের বাঙালী সমাজ তাঁহার কাব্য হইতেই ধর্মমঙ্গল কাব্যের নূতনত্ব উপলব্ধি করিয়াছিলেন। এই শাখার অন্যান্য শক্তিশালী কবি অপেক্ষা ঘনরাম অধিকতর ভাগ্যবান। কারণ ধর্মমঙ্গলের কবিদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম মার্জিত রুচির নাগরিক সমাজে পরিচিত হন। ( বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, তৃতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় পর্ব, পৃষ্ঠা-৯৮ ...

বাংলা সাহিত্যের আদিপর্বে বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধ সংস্কৃতিচর্চা এবং বিবর্তনের ইতিহাস। সমস্ত সংক্ষিপ্ত ও অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ....

সংক্ষিপ্ত ও অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ....                                                  প্রতিটি প্রশ্নের মান ১/২ 1. ভারতবর্ষের প্রথম সাহিত্যিক ভাষারূপে কোন ভাষার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে? উত্তর : আনুমানিক খ্রিঃ পূর্বঃ ৬০০-২০০ খ্রিঃ মধ্যে প্রচলিত 'পালি' ভাষাকে লোক ভারতের প্রথম সাহিত্যিক ভাষা হিসাবে মর্যাদা দেওয়া যেতে পারে। 2. পালি ভাষার উৎপত্তি কীভাবে ঘটে? উত্তর : বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র সংগ্রন্থনের মৌলিক প্রয়োজন থেকেই পালি ভাষার প্রথম উৎপত্তি ঘটেছে বলে সাহিত্য ঐতিহাসিকরা মনে করেছেন। 3. কোন্‌ সময়কালে সংস্কৃত ভাষায় বৌদ্ধধর্ম সম্বন্ধে নানা শাস্ত্র ও কাব্যগ্রন্থ রচনার কথা জানা যায়? উত্তর : পাল রাজাদের আমলে সংস্কৃত ভাষায় বৌদ্ধধর্ম সম্বন্ধে বিভিন্ন শাস্ত্র এবং কাব্যগ্রন্থ রচনার সুনিশ্চিত প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু এইসব রচনার প্রত্যক্ষ নিদর্শন অপ্রাপ্য থাকায় সাহিত্য ঐতিহাসিকরা তিব্বতি ভাষার অনুবাদ গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে থাকেন।  4. বৌদ্ধধর্ম প্রভাবিত সংস্কৃত সাহিত্য র...